সাতক্ষীরা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃষ্টি, সাগর থেকে ফিরেছেন জেলেরা

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ১০০ বার পঠিত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৮৭টি সাইক্লেন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা।

স্থানীয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর জেলেরা শনিবার থেকে মাছ ধরতে নামেননি। সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থানরত জেলেরা এলাকায় ফিরে এসেছেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনসহ সব টহল ফাঁড়ির বনকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে সাত থেকে আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃষ্টি, সাগর থেকে ফিরেছেন জেলেরা

আপডেট সময় : ১১:১৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৮৭টি সাইক্লেন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা।

স্থানীয় বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর জেলেরা শনিবার থেকে মাছ ধরতে নামেননি। সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থানরত জেলেরা এলাকায় ফিরে এসেছেন।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনসহ সব টহল ফাঁড়ির বনকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরিয়ে নিয়ে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বেড়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে সাত থেকে আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ। মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।