সাতক্ষীরা ১২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ঘরচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু, রাতভর চরাঞ্চলে আতঙ্ক

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ২০০ বার পঠিত

ভোলার লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঘর চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে গতকাল রোববারের ঝড়, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে ভোলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

ভোলার ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা লালমোহন উপজেলায় একজনের ঘরচাপায় নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানতে পারিনি। সব উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে লোক লাগানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই বিস্তারিত জানাতে পারব।’

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুজনের মৃত্যুর তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

এদিকে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল দিনের চেয়ে রাতে ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বেশি হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত সমানে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলমান ছিল।

আতঙ্কে গতকাল রাতে ঘুমাতে পারেননি জানিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার চর শাহাজালালের বাসিন্দা মো. নাসিম মাঝি (৪৫) বলেন, ‘রাতের জোয়ারে ঘরে প্রায় খাটসমান পানি উঠে যায়। রাত আটটার দিকে জোয়ার আসে। সেই জোয়ার নামে ভোরে ফজরের আজান দেওয়ার পর। সারা রাত আতঙ্কে ছিলাম, ভেবেছিলাম পানি আরও বাড়বে। ভয়ে ছিলাম সাপ-বিচ্ছুর আর ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার। সারা রাত ঘুম আসেনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভোলায় ঘরচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু, রাতভর চরাঞ্চলে আতঙ্ক

আপডেট সময় : ১১:১২:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

ভোলার লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঘর চাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে গতকাল রোববারের ঝড়, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে ভোলার উপকূলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ে এ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

ভোলার ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা লালমোহন উপজেলায় একজনের ঘরচাপায় নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানতে পারিনি। সব উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে লোক লাগানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই বিস্তারিত জানাতে পারব।’

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে দুজনের মৃত্যুর তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

এদিকে ভোলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল দিনের চেয়ে রাতে ঝড়বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বেশি হয়েছে। আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত সমানে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলমান ছিল।

আতঙ্কে গতকাল রাতে ঘুমাতে পারেননি জানিয়ে ভোলার লালমোহন উপজেলার চর শাহাজালালের বাসিন্দা মো. নাসিম মাঝি (৪৫) বলেন, ‘রাতের জোয়ারে ঘরে প্রায় খাটসমান পানি উঠে যায়। রাত আটটার দিকে জোয়ার আসে। সেই জোয়ার নামে ভোরে ফজরের আজান দেওয়ার পর। সারা রাত আতঙ্কে ছিলাম, ভেবেছিলাম পানি আরও বাড়বে। ভয়ে ছিলাম সাপ-বিচ্ছুর আর ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার। সারা রাত ঘুম আসেনি।’