সাতক্ষীরা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে সমাবেশ একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় চূড়ান্ত রায়ে সবাই খালাস! ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের ‘টার্গেটেড কিলিং’–এর প্রতিবাদে দৃকের সংহতি প্রকাশ এডভোকেট জেড আই খান পান্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় বাসদের নিন্দা ৭ মার্চসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু মানুষের জীবন সংগ্রাম শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক সাবেক হেভিওয়েট মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে আদালত চত্বরে জুতা-ডিম নিক্ষেপ ওয়ার্কার্স পার্টির মেনন ৬ দিন ও জাসদের ইনুর ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর

ঘুম থেকে উঠেই বিএনপি হাইকমিশনে নালিশ করতে যায় : সেতুমন্ত্রী

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৩৩৫ বার পঠিত

বিএনপি যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সকল কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হলো গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা, তারা যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।

আজ সোমবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের জন্য বিএনপি সব সময় সেরা ছিল। আন্দোলনের সফলতা না পেয়ে বিএনপি এখন বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারে আছি, শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা কেন করব? পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আমরা দেইনি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। আমরা শান্তি সমাবেশ, গণসংযোগ করছি। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। রাজনীতিতে ও নির্বাচনে প্রতিযোগিতা চাই। বিএনপি সংঘাত চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে।

নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি দণ্ডিত, এই অবস্থানটা তাঁর নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য তিনি নন। বিএনপির নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাঁকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।

বিদেশী চাপ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই অ্যাম্বাসি ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য বিএনপিকে মানুষ নালিশ পার্টি বলে। চাপে আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপিই চাপে আছে। ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বিএনপি এখন হতাশ। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে চিত্রনায়িকা কেয়া রচিত ‘প্রেমিকের নাম কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘুম থেকে উঠেই বিএনপি হাইকমিশনে নালিশ করতে যায় : সেতুমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১১:৫১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিএনপি যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সকল কর্মসূচির উদ্দেশ্যই হলো গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা, তারা যতই বিশৃঙ্খলা তৈরি করুক না কেন, আওয়ামী লীগ রাজপথে থেকে জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।

আজ সোমবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের স্টল পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের জন্য বিএনপি সব সময় সেরা ছিল। আন্দোলনের সফলতা না পেয়ে বিএনপি এখন বিশৃঙ্খলা ও সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে। বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা করছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সংঘাত চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সংঘাতের দিকে যেতে চায়। ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন করতে না পারে সেজন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সতর্ক ও প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, আমরা সরকারে আছি, শান্তি চাই। বিশৃঙ্খলা কেন করব? পাল্টাপাল্টি সমাবেশ আমরা দেইনি। নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব কর্মসূচি আছে। আমরা শান্তি সমাবেশ, গণসংযোগ করছি। আমরা কোনো সংঘাত চাই না, প্রতিযোগিতা চাই। রাজনীতিতে ও নির্বাচনে প্রতিযোগিতা চাই। বিএনপি সংঘাত চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি নেই। বিক্ষোভ সমাবেশ করতে লোক লাগে, সংঘাত করতে দু চারজন হলেই চলে। বিএনপির সে স্বভাব ও শিক্ষা আছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই, তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করে অন্ধকারের চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতায় যেতে।

নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি দণ্ডিত, এই অবস্থানটা তাঁর নির্বাচন করার পক্ষে নয়। নির্বাচনের যোগ্য তিনি নন। বিএনপির নেতা হিসেবে তিনি যদি রাজনীতি করতে চান, তাহলে তাঁকে মুক্তির শর্ত অনুযায়ী করতে হবে।

বিদেশী চাপ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই অ্যাম্বাসি ও হাইকমিশনে নালিশ করতে যায়। এজন্য বিএনপিকে মানুষ নালিশ পার্টি বলে। চাপে আওয়ামী লীগ সরকার নয়, বিএনপিই চাপে আছে। ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠক না হওয়ায় বিএনপি এখন হতাশ। আমরা চাপে নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলছি।

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বইমেলা প্রাঙ্গণে চিত্রনায়িকা কেয়া রচিত ‘প্রেমিকের নাম কবিতা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।