সাতক্ষীরা ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত আটক সাবেক হেভিওয়েট মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে আদালত চত্বরে জুতা-ডিম নিক্ষেপ ওয়ার্কার্স পার্টির মেনন ৬ দিন ও জাসদের ইনুর ৭ দিন রিমান্ড মঞ্জুর আইসিটি’র ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ, পাসওয়ার্ড জানেন শুধু পলক আর.জি.কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকাণ্ড! বিক্ষোভে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ! বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্ঠার দায়িত্ব নিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস বঙ্গভবনে নবীন-প্রবীণের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ একটু পরেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রুখতে ঢাকায় বাম দলসমূহের মিছিল ও সমাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা প্রতিরোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সাতক্ষীরার বাম দলসমূহের যৌথ বিবৃতি

পদ্মশ্রী কবি হলধর নাগ

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০২:২০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪ ৫৭ বার পঠিত

পরনে সাদা ধুতি ও কুর্তা। পিঠ পর্যন্ত লম্বা তেল জবজবে চুল। পায়ে জুতো নেই। এমন চেহারার ঘুগনি বিক্রেতা স্বাভাবিক ভাবেই কারোর নজরে আসে না। কিন্তু অনেকেই জানেন না অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবন কাটানো এই মানুষটি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় কবি।
ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়া এই ঘুগনি বিক্রেতা কবি কে নিয়ে ৫ জন পি এইচ ডি করেছেন এবং ১৪ জন স্কলার গবেষণা করছেন। তাঁর ঝুলিতে রাষ্ট্রপতি পদক ‘পদ্মশ্রী’, সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ‘সাম্মানিক ডক্টরেট’, ওড়িশার ‘সাহিত্য একাডেমী’ এর মতো পুরস্কার। এমন কি তাঁর গ্রন্থগুলি সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স এর সিলেবাসে স্থান পেয়েছে।
ওড়িশার বড়গড় জেলার ঘেনসে গ্রামে ১৯৫০ সালের ৩১ মার্চ এক অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই কবি। মাত্র ১০ বছর বয়সেই পিতা-মাতা কে হারান। দারিদ্রতার জন্য মাত্র তৃতীয় ক্লাস পর্যন্ত পড়ার পরই পড়াশোনায় তাঁর ছেদ পড়ে। তারপর কখনও হোটেলে কাপ ধোয়ার কাজ, কখনও হোস্টেলে রাধুনির কাজ, কখনও বা ঘুগনি বিক্রির মতো কাজ করতে বাধ্য হন। তবুও কখনও জীবন যুদ্ধে তিনি হার মানেন না। তবুও তাঁর রক্ত থেকে কখনও কবি প্রতিভা হারিয়ে যায় নি। তিনি লিখতে থাকেন। সেইসঙ্গে কবিতা আবৃত্তি ও গানও গাইতেন।
কোশলি ভাষার এই কবির প্ৰথম কবিতা ‘ধোদো বড়গাছ’ (বুড়ো বটগাছ)। তাঁর রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘ভাব’ ‘সুরত’ সহ বহু জনপ্রিয় কবিতা। ‘আচিয়া’ ‘বাছার’ ‘মহাসতী উর্মিলা’ ‘তারা মন্দোদরী’ ‘শিরি সামালাই’ ‘প্রেম পইচান’ ‘বীর সুরেন্দ্রসাই’ ‘শান্ত কবি ভিমাভাই’ ‘প্রেম কবি গঙ্গাধর’ ইত্যাদি মোট ২০ টি মহাকাব্যের রচয়িতা এই কবি। তাঁর কাব্যগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়েছে হলধর গ্রন্থাবলী, হলধর গ্রন্থাবলী-২ এবং তাঁর তৈরি নতুন কাব্যধারা ‘হলধর ধারা’ নামে বিশ্বে সমাদৃত।
মা সরস্বতীর বরপুত্র মহাকবি অথচ অতি সাধারণ মানুষটি হলেন ‘লোক কবিরত্ন’ ‘পদ্মশ্রী’ কবি হলধর নাগ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই তাঁর চরণে….
========
#collected

 

সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন!

হলধর নাগ , যার নামের আগে কখনও শ্রী লাগেনি, খান তিনেক জামা, একটি ছেঁড়া রাবার চপ্পল, একটা অ-খিলানযুক্ত চশমা এবং ৭৩২ টাকার জমা মূলধনের মালিক…..আজ পদ্মশ্রী পুরষ্কার বিজয়ী, ইনি হলেন পশ্চিম ওড়িশার বাসিন্দা হলধর নাগ।

যিনি কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি। বিশেষ কথা হল, তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো কবিতা ও ২০টি মহাকাব্য রচনা করেছেন, তার সবগুলোই তার জিহ্বার ডগায় । এবার তাঁর লেখা ‘হলধর গ্রন্থাবলী-২’-এর একটি সংকলন সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসের অংশ করা হবে।

সাদা পোশাক, সাদা ধুতি, গামছা ও গেঞ্জি পরিহিত হলধর নাগ খালি পায়েই থাকে্ন। উড়িশ্যার লোক-কবি হলধর নাগ একটি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ বছর বয়সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তৃতীয় শ্রেণিতেই পড়া ছেড়ে দেন তিনি।
অনাথ জীবনে, তিনি বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন।

পরে একটি স্কুলে রান্নাঘর দেখাশোনার কাজ পান তিনি। কয়েক বছর পরে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে পেন-পেনসিল ইত্যাদির একটি ছোট দোকান খোলেন সেই স্কুলের সামনেই । এটাই ছিল তার আর্থিক অবস্থা।

এবার আসা যাক তাঁর সাহিত্যের বিশেষত্বে। ১৯৯৫ সালের দিকে হলধর স্থানীয় ওড়িয়া ভাষায় “রাম-শবরী” র মতো কিছু ধর্মীয় পর্বের উপর লেখালেখি শুরু করেন এবং মানুষকে সেগুলো আবৃত্তি করে শোনাতে শুরু করেন।

আবেগে ভরপুর কবিতা লিখে মানুষের মধ্যে জোর করে উপস্থাপন করে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০১৬ সালে ৮ বছর আগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী দেন। শুধু তাই নয়, ৫ জন গবেষক এখন তার সাহিত্যে পিএইচডি করছেন যেখানে হলধর নিজেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পদ্মশ্রী কবি হলধর নাগ

আপডেট সময় : ০২:২০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

পরনে সাদা ধুতি ও কুর্তা। পিঠ পর্যন্ত লম্বা তেল জবজবে চুল। পায়ে জুতো নেই। এমন চেহারার ঘুগনি বিক্রেতা স্বাভাবিক ভাবেই কারোর নজরে আসে না। কিন্তু অনেকেই জানেন না অত্যন্ত অনাড়ম্বর জীবন কাটানো এই মানুষটি একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় কবি।
ক্লাস থ্রি পর্যন্ত পড়া এই ঘুগনি বিক্রেতা কবি কে নিয়ে ৫ জন পি এইচ ডি করেছেন এবং ১৪ জন স্কলার গবেষণা করছেন। তাঁর ঝুলিতে রাষ্ট্রপতি পদক ‘পদ্মশ্রী’, সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ‘সাম্মানিক ডক্টরেট’, ওড়িশার ‘সাহিত্য একাডেমী’ এর মতো পুরস্কার। এমন কি তাঁর গ্রন্থগুলি সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স এর সিলেবাসে স্থান পেয়েছে।
ওড়িশার বড়গড় জেলার ঘেনসে গ্রামে ১৯৫০ সালের ৩১ মার্চ এক অত্যন্ত গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই কবি। মাত্র ১০ বছর বয়সেই পিতা-মাতা কে হারান। দারিদ্রতার জন্য মাত্র তৃতীয় ক্লাস পর্যন্ত পড়ার পরই পড়াশোনায় তাঁর ছেদ পড়ে। তারপর কখনও হোটেলে কাপ ধোয়ার কাজ, কখনও হোস্টেলে রাধুনির কাজ, কখনও বা ঘুগনি বিক্রির মতো কাজ করতে বাধ্য হন। তবুও কখনও জীবন যুদ্ধে তিনি হার মানেন না। তবুও তাঁর রক্ত থেকে কখনও কবি প্রতিভা হারিয়ে যায় নি। তিনি লিখতে থাকেন। সেইসঙ্গে কবিতা আবৃত্তি ও গানও গাইতেন।
কোশলি ভাষার এই কবির প্ৰথম কবিতা ‘ধোদো বড়গাছ’ (বুড়ো বটগাছ)। তাঁর রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘ভাব’ ‘সুরত’ সহ বহু জনপ্রিয় কবিতা। ‘আচিয়া’ ‘বাছার’ ‘মহাসতী উর্মিলা’ ‘তারা মন্দোদরী’ ‘শিরি সামালাই’ ‘প্রেম পইচান’ ‘বীর সুরেন্দ্রসাই’ ‘শান্ত কবি ভিমাভাই’ ‘প্রেম কবি গঙ্গাধর’ ইত্যাদি মোট ২০ টি মহাকাব্যের রচয়িতা এই কবি। তাঁর কাব্যগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়েছে হলধর গ্রন্থাবলী, হলধর গ্রন্থাবলী-২ এবং তাঁর তৈরি নতুন কাব্যধারা ‘হলধর ধারা’ নামে বিশ্বে সমাদৃত।
মা সরস্বতীর বরপুত্র মহাকবি অথচ অতি সাধারণ মানুষটি হলেন ‘লোক কবিরত্ন’ ‘পদ্মশ্রী’ কবি হলধর নাগ।
অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই তাঁর চরণে….
========
#collected

 

সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন!

হলধর নাগ , যার নামের আগে কখনও শ্রী লাগেনি, খান তিনেক জামা, একটি ছেঁড়া রাবার চপ্পল, একটা অ-খিলানযুক্ত চশমা এবং ৭৩২ টাকার জমা মূলধনের মালিক…..আজ পদ্মশ্রী পুরষ্কার বিজয়ী, ইনি হলেন পশ্চিম ওড়িশার বাসিন্দা হলধর নাগ।

যিনি কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি। বিশেষ কথা হল, তিনি এ পর্যন্ত যতগুলো কবিতা ও ২০টি মহাকাব্য রচনা করেছেন, তার সবগুলোই তার জিহ্বার ডগায় । এবার তাঁর লেখা ‘হলধর গ্রন্থাবলী-২’-এর একটি সংকলন সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসের অংশ করা হবে।

সাদা পোশাক, সাদা ধুতি, গামছা ও গেঞ্জি পরিহিত হলধর নাগ খালি পায়েই থাকে্ন। উড়িশ্যার লোক-কবি হলধর নাগ একটি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ বছর বয়সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তৃতীয় শ্রেণিতেই পড়া ছেড়ে দেন তিনি।
অনাথ জীবনে, তিনি বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন।

পরে একটি স্কুলে রান্নাঘর দেখাশোনার কাজ পান তিনি। কয়েক বছর পরে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে পেন-পেনসিল ইত্যাদির একটি ছোট দোকান খোলেন সেই স্কুলের সামনেই । এটাই ছিল তার আর্থিক অবস্থা।

এবার আসা যাক তাঁর সাহিত্যের বিশেষত্বে। ১৯৯৫ সালের দিকে হলধর স্থানীয় ওড়িয়া ভাষায় “রাম-শবরী” র মতো কিছু ধর্মীয় পর্বের উপর লেখালেখি শুরু করেন এবং মানুষকে সেগুলো আবৃত্তি করে শোনাতে শুরু করেন।

আবেগে ভরপুর কবিতা লিখে মানুষের মধ্যে জোর করে উপস্থাপন করে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০১৬ সালে ৮ বছর আগে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী দেন। শুধু তাই নয়, ৫ জন গবেষক এখন তার সাহিত্যে পিএইচডি করছেন যেখানে হলধর নিজেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।