সাতক্ষীরা ০৮:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাফ জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডাকে সংবর্ধনা

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৭:২১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ৪৭২ বার পঠিত
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘যদি বসবাসেরই জায়গা না থাকে তাহলে সংবর্ধনা কি হবে’- সাথী মুন্ডা

পিসিবার্তা ডেস্ক: ১৯৪০ সালে শ্যামনগরের হাজী মুহসিন ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মুহসিন আলী দাতিনাখালি গ্রামের বিলের হুলোতে সাথী মুন্ডার পূর্বপুরুষসহ ওই এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাসের সুবিধার্থে কিছু জমি দান করে গিয়েছিলেন। আজো ওই জমির মালিকানা সাথী মু-ার পরিবারসহ অন্যরা পাননি। আবার তাদের বসতির পাশ দিয়ে প্রবাহমান কালিঞ্চি নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হলে তাদেরকে সেখান থেকে উঠে যেয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের বসবাস হুমকির মুখে পড়বে। যদি বসবাসেরই জায়গা না থাকে তাহলে সংবর্ধনা কি হবে?
আজ বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে বসে এভাবেই আক্ষেপ করে কথা বলেন, শ্যামনগরের উপকূলের মেয়ে সাফ জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডা।

সাথী মুন্ডা বলেন, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করাকালিন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগহণ করার মধ্য দিয়েই তার ফুটবলে হাতে খড়ি। এরপর বহু প্রতিবন্ধকতা ও দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে একের পর এক ধাপ পার হওয়া। সম্প্রতি সাফ গেমসে তার দলে নারী ফুটবলাররা শিরোপা জয়ী হওয়ায় সে যার পর নেই খুশী। তবে তাদেরসহ একই পাড়ায় ৩০ টি মুন্ডা পরিবারের স্থায়ী বসবাসের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করার দাবি তার।

এদিকে গত ১৫ এপ্রিল সোমবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাফ শিরোপা জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডাকে বুড়িগোয়ালিনি কলেজ মাঠে বুড়িগোয়ালিনি যুব বেসিক একাডেমীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। পায়ের জাদুতে উপকূলের কন্যা ভারতকে পরাজিত করে সে ওতার সহযোগীরা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব বেসিক একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান (আশু)

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তাদের কণ্ঠে ছিল উপকূলের কন্যা সাথীসহ অঞ্জনা মুন্ডা, ষষ্ঠী মুন্ডাদের জয়গান। তাঁরা বলেছেন, সাফল্যের এই যাত্রা সবে শুরু হলো সেটি যেন থেমে না যায়। সাথীসহ তাঁদের হাত ধরে একদিন বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশ। বক্তারা আরোও এখানে থেমে থাকলে হবে না। কঠোর পরিশ্রমের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সাথীদের হাত ধরে নারী ফুটবল এগিয়ে যাবে।

এ সময় আগামী দিনেও সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে ভক্তদের উদ্দেশে ফুটবলার সাথী মুন্ডা বলেন, আমি গর্বিত। খুব ভালো লাগছে, আনন্দ লাগছে। আজ খুশির দিন। সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন। আপনাদের সীমাহীন সমর্থন আগামী দিনেও আমার মনোবল দৃঢ় করবে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ডালিম কুমার ঘরামী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাফ জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডাকে সংবর্ধনা

আপডেট সময় : ০৭:২১:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘যদি বসবাসেরই জায়গা না থাকে তাহলে সংবর্ধনা কি হবে’- সাথী মুন্ডা

পিসিবার্তা ডেস্ক: ১৯৪০ সালে শ্যামনগরের হাজী মুহসিন ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মুহসিন আলী দাতিনাখালি গ্রামের বিলের হুলোতে সাথী মুন্ডার পূর্বপুরুষসহ ওই এলাকায় বসবাসরত প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাসের সুবিধার্থে কিছু জমি দান করে গিয়েছিলেন। আজো ওই জমির মালিকানা সাথী মু-ার পরিবারসহ অন্যরা পাননি। আবার তাদের বসতির পাশ দিয়ে প্রবাহমান কালিঞ্চি নদীর বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হলে তাদেরকে সেখান থেকে উঠে যেয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়তে হবে। সেক্ষেত্রে তাদের বসবাস হুমকির মুখে পড়বে। যদি বসবাসেরই জায়গা না থাকে তাহলে সংবর্ধনা কি হবে?
আজ বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে বসে এভাবেই আক্ষেপ করে কথা বলেন, শ্যামনগরের উপকূলের মেয়ে সাফ জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডা।

সাথী মুন্ডা বলেন, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করাকালিন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশগহণ করার মধ্য দিয়েই তার ফুটবলে হাতে খড়ি। এরপর বহু প্রতিবন্ধকতা ও দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে একের পর এক ধাপ পার হওয়া। সম্প্রতি সাফ গেমসে তার দলে নারী ফুটবলাররা শিরোপা জয়ী হওয়ায় সে যার পর নেই খুশী। তবে তাদেরসহ একই পাড়ায় ৩০ টি মুন্ডা পরিবারের স্থায়ী বসবাসের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করার দাবি তার।

এদিকে গত ১৫ এপ্রিল সোমবার সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাফ শিরোপা জয়ী নারী ফুটবলার সাথী মুন্ডাকে বুড়িগোয়ালিনি কলেজ মাঠে বুড়িগোয়ালিনি যুব বেসিক একাডেমীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। পায়ের জাদুতে উপকূলের কন্যা ভারতকে পরাজিত করে সে ওতার সহযোগীরা দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুব বেসিক একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস.এম আতাউল হক দোলন। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান (আশু)

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তাদের কণ্ঠে ছিল উপকূলের কন্যা সাথীসহ অঞ্জনা মুন্ডা, ষষ্ঠী মুন্ডাদের জয়গান। তাঁরা বলেছেন, সাফল্যের এই যাত্রা সবে শুরু হলো সেটি যেন থেমে না যায়। সাথীসহ তাঁদের হাত ধরে একদিন বিশ্বজয় করবে বাংলাদেশ। বক্তারা আরোও এখানে থেমে থাকলে হবে না। কঠোর পরিশ্রমের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সাথীদের হাত ধরে নারী ফুটবল এগিয়ে যাবে।

এ সময় আগামী দিনেও সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে ভক্তদের উদ্দেশে ফুটবলার সাথী মুন্ডা বলেন, আমি গর্বিত। খুব ভালো লাগছে, আনন্দ লাগছে। আজ খুশির দিন। সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা পাশে ছিলেন ভবিষ্যতেও পাশে থাকবেন। আপনাদের সীমাহীন সমর্থন আগামী দিনেও আমার মনোবল দৃঢ় করবে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ডালিম কুমার ঘরামী।