নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করলো সরকার
- আপডেট সময় : ০৮:১০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪ ১০৭ বার পঠিত
গতকাল ১ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে সরকার এক প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে, ৭১’রের স্বাধীনতা যুদ্ধবিরোধী সংগঠন জামায়াত-শিবির!
সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, দলের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সব অঙ্গসংগঠনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বিকাল ৪টায় এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
নিষিদ্ধের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াতের আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, দলের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির ও তাদের সব অঙ্গসংগঠনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের এই প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াত।
বৃহস্পতিবার বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সদ্য নিষিদ্ধ দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘সরকার নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ ও ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’ কে নির্বাহী আদেশবলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চলমান আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাচ্ছে।’’
জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জামায়াতের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতির উদ্ভাবক জামায়াতে ইসলামী। এই কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে পরপর তিনবার সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে ভূমিকা পালন করেছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় জামায়াতের ছয় জন নেতাকে জঙ্গিদের বোমা হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে সন্ত্রাসবাাদ ও নৈরাজ্যবাদের কোনও সম্পর্ক নেই’, বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘সরকার বিগত ১৬ বছর যাবত জামায়াতের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে। জামায়াত ধৈর্যের সঙ্গে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান সব নাগরিককে সভা-সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার দিয়েছে। সরকার ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ ও ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’ কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। আমরা সরকারের এই অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’