সিকিম ভ্রমণে ব্যয় কমছে! সহনীয় দরে মিলবে গাড়ি, কেন্দ্রের নয় পদক্ষেপ!
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪ ১৯৪ বার পঠিত
গ্রীষ্ম হোক অথবা বর্ষা অথবা শীত, ভ্রমণপিপাসুদের ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোথাও কোনো রকম খামতি থাকে না। আবার পর্যটকদের বড় অংশ রয়েছেন যারা পাহাড় ঘুরতে যেতে খুব পছন্দ করেন। পাহাড় ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আবার দার্জিলিং, সিকিমের মতো জায়গা খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এই সকল জায়গা ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো খরচ।
বহু পর্যটক রয়েছেন যারা বছরের বিভিন্ন সময় দার্জিলিং অথবা সিকিম ভ্রমণ করে থাকেন। আর এই সকল পর্যটকদের সবচেয়ে বেশি খরচ হয় মূলত গাড়ি ভাড়ার (Sikkim Vehicle Fare) পিছনে। অন্ততপক্ষে সিকিমের ক্ষেত্রে এই ঘটনার উদাহরণ ভুরি ভুরি। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটক এবং গ্যাংটক থেকে ছাঙ্গু লেক, গুরুদম্বার, বাবা ধাম, না থুলা পাস, লাচুং ইত্যাদি জায়গা যেতে গাড়ি ভাড়ার পিছনেই ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা বা তারও বেশি খরচ করতে হয়। আর এই বিষয় নিয়েই এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র।
সিকিম ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগামছাড়া ভাবে যানবাহনের ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল, আর সেই সকল অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক হস্তক্ষেপ করল। এই বিষয়ে সিকিম সরকারকে তাদের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে কার্যত সতর্ক করা হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সিকিম সরকারকে লাগামছাড়া গাড়ি ভাড়া নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৩ মে সিকিম সরকারকে এমন একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স রিড্রেস এন্ড মনিটরিং সিস্টেমের তরফে। সাধারণ পর্যটকদের দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ থাকার পাশাপাশি গাড়ি ভাড়া নিয়ে বেনিয়মের বিষয়টি আরও মাথাচাড়া দেয় কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন অতিরিক্ত কমিশনার কেপি ওয়াসনিকের কারণে। কেননা তিনি গত ২৭ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত দার্জিলিং ও সিকিম ভ্রমণে এসেছিলেন পরিবার নিয়ে। ট্যুর শেষে তিনি সিকিমের বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই কেন্দ্র সরকার রীতিমত নড়েচড়ে বসে সিকিম সরকারকে এই চিঠিটি দিয়েছে।
যে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মূলত ট্রাভেল এজেন্সিগুলি পারমিট এবং টুরিস্ট স্পটে ভ্রমণ করানোর জন্য পর্যটকদের থেকে অযাচিতভাবে টাকা নিয়ে থাকে। এছাড়াও নাথুলা পাস যাতায়াতের ক্ষেত্রে খাঁড়াই রাস্তায় পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার মনে করা হচ্ছে অনেক সস্তায় ঘোরা যাবে সিকিম।