সাতক্ষীরা ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গত ৩ দিনে ৩০০ ‘পুশ ইন’: বাংলাদেশকে কী বার্তা দিতে চাইছে ভারত

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫ ৯৩ বার পঠিত
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট উত্তেজনার ভেতর ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ৭মে থেকে ৯মে’র ভেতর তিনদিনে ছয় জেলার অনেকগুলো সীমান্ত দিয়ে তিনশর মতো মানুষকে বাংলাদেশের সীমানায় ‘পুশ ইন’ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সীমানায় ‘পুশ ইন’ করা অর্থাৎ জোর করে ঠেলে দেওয়া এসব মানুষের ভেতর বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকরাও আছেন।

সর্বশেষ গত ৯মে শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে ফেলে যায় বিএসএফ। পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি ও তিনজন ভারতীয় নাগরিক। উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ এও জানিয়েছে যে, তাদের গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে-লঞ্চে করে চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, অনেকে অসুস্থ এবং কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে।

এর আগে ৭মে বুধবার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশ ইন করানোর পর ১২৩ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের ভেতর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, শান্তিপুর ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিরাও জানান, তাদের গুজরাট থেকে বিমানে করে প্রথমে ত্রিপুরায় নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। তারপর এক ঘণ্টা হাঁটিয়ে সীমান্ত দিয়ে এ পারে ঠেলে দেওয়া হয়। এই অনুপ্রবেশকারীদের ভেতর বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও রোহিঙ্গা ও গুজরাটি ভাষায় কথা বলা মানুষও ছিল বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের নাগরিক বলে ভারত যেভাবে এত এত মানুষকে সীমান্তের এপারে ঠেলে দিলো তা কতটা যুক্তিসঙ্গত? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এমন একটি সংবেদনশীল ও জটিল ইস্যুতে কেন আনুষ্ঠানিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না? আর পুশ ইনের জন্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা এমন যুদ্ধকালীন একটি সময়কেই বা কেন বেছে নেওয়া হলো? এর মাধ্যমে ভারত কী বার্তা দিতে চাইছে বাংলাদেশকে? এক্ষেত্রে বাংলাদেশেরই বা করণীয় কী?

আলোচিত এ ঘটনা প্রসঙ্গে গত বুধবারই অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশ–ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।’

পরে ৮মে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ভারতকে অবিলম্বে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের পাঠানো এক চিঠিতে। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এই ধরনের পুশ ইন গ্রহণযোগ্য নয়।’

ফরহাদ মজহার, এম হুমায়ুন কবির, ইমতিয়াজ আহমেদ, আলতাফ পারভেজ ও আসিফ মুনীর। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনের পুশ ইনের পদক্ষেপগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত; যা গভীর উদ্বেগের একটি বিষয়। এটি চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে এবং জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করা এ পদক্ষেপগুলো ১৯৭৫ সালের সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)-২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।

বিষয়টির বিভিন্ন দিক নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার, কূটনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ের গবেষক আলতাফ পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং অভিবাসনবিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর– এর সঙ্গে।

এই বিশ্লেষকরা বলছেন, পুশ ইন-পুশ ব্যাক ইস্যু কেবল নিরাপত্তা নয়, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কার্যক্রম সীমান্তবর্তী জনগণের জীবনে অনিশ্চয়তা ও ভয় সৃষ্টি করে। তাই দ্রুত এর সমাধান জরুরি।

‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানবতাবিরোধী’

বিষয়টি নিয়ে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের পর্যবেক্ষণ হলো, ‘এখন যুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের পরিবেশে কোনো না কোনো বর্ডারে একটা সংঘর্ষ তারা [ভারত] লাগাতে চায়। সেই চেষ্টা তারা করছে। পুশ ইনের ঘটনার আগে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে অনেকগুলো জায়গা তাদের বলে দখল করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ বিজিবির সঙ্গে মিলে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

‘এখন সীমান্তে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে তারা প্রমাণ করতে চায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সম্পর্ক হওয়ার কারণে পাকিস্তানি জঙ্গিরা সীমান্তে এসেছে। এমন একটি গল্প তারা তৈরি করতে চায়। সেই গল্প তৈরি করবার রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তৈরি হয়ে আছে।’
সৌজন্য: দ্য ডেইলি স্টার

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গত ৩ দিনে ৩০০ ‘পুশ ইন’: বাংলাদেশকে কী বার্তা দিতে চাইছে ভারত

আপডেট সময় : ১২:১২:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট উত্তেজনার ভেতর ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে ৭মে থেকে ৯মে’র ভেতর তিনদিনে ছয় জেলার অনেকগুলো সীমান্ত দিয়ে তিনশর মতো মানুষকে বাংলাদেশের সীমানায় ‘পুশ ইন’ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সীমানায় ‘পুশ ইন’ করা অর্থাৎ জোর করে ঠেলে দেওয়া এসব মানুষের ভেতর বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও ভারতীয় নাগরিকরাও আছেন।

সর্বশেষ গত ৯মে শুক্রবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে ফেলে যায় বিএসএফ। পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি ও তিনজন ভারতীয় নাগরিক। উদ্ধারকৃতদের বরাত দিয়ে পুলিশ এও জানিয়েছে যে, তাদের গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে-লঞ্চে করে চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, অনেকে অসুস্থ এবং কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে।

এর আগে ৭মে বুধবার পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশ ইন করানোর পর ১২৩ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের ভেতর খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, শান্তিপুর ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিরাও জানান, তাদের গুজরাট থেকে বিমানে করে প্রথমে ত্রিপুরায় নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। তারপর এক ঘণ্টা হাঁটিয়ে সীমান্ত দিয়ে এ পারে ঠেলে দেওয়া হয়। এই অনুপ্রবেশকারীদের ভেতর বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও রোহিঙ্গা ও গুজরাটি ভাষায় কথা বলা মানুষও ছিল বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের নাগরিক বলে ভারত যেভাবে এত এত মানুষকে সীমান্তের এপারে ঠেলে দিলো তা কতটা যুক্তিসঙ্গত? বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এমন একটি সংবেদনশীল ও জটিল ইস্যুতে কেন আনুষ্ঠানিক কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে না? আর পুশ ইনের জন্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলা এমন যুদ্ধকালীন একটি সময়কেই বা কেন বেছে নেওয়া হলো? এর মাধ্যমে ভারত কী বার্তা দিতে চাইছে বাংলাদেশকে? এক্ষেত্রে বাংলাদেশেরই বা করণীয় কী?

আলোচিত এ ঘটনা প্রসঙ্গে গত বুধবারই অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশ–ইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।’

পরে ৮মে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে ভারতকে অবিলম্বে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়ের পাঠানো এক চিঠিতে। ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে এই ধরনের পুশ ইন গ্রহণযোগ্য নয়।’

ফরহাদ মজহার, এম হুমায়ুন কবির, ইমতিয়াজ আহমেদ, আলতাফ পারভেজ ও আসিফ মুনীর। ছবি: সংগৃহীত

এ ব্যাপারে পর্যবেক্ষকদের ভাষ্য, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে পরিবর্তিত রাজনৈতিক বাস্তবতায় এবং প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে একটা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনের পুশ ইনের পদক্ষেপগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত; যা গভীর উদ্বেগের একটি বিষয়। এটি চূড়ান্তভাবে সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে এবং জনমনে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করছে। দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করা এ পদক্ষেপগুলো ১৯৭৫ সালের সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য যৌথ ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি)-২০১১ এবং বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।

বিষয়টির বিভিন্ন দিক নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার, কূটনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ের গবেষক আলতাফ পারভেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ এবং অভিবাসনবিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর– এর সঙ্গে।

এই বিশ্লেষকরা বলছেন, পুশ ইন-পুশ ব্যাক ইস্যু কেবল নিরাপত্তা নয়, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের কার্যক্রম সীমান্তবর্তী জনগণের জীবনে অনিশ্চয়তা ও ভয় সৃষ্টি করে। তাই দ্রুত এর সমাধান জরুরি।

‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মানবতাবিরোধী’

বিষয়টি নিয়ে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের পর্যবেক্ষণ হলো, ‘এখন যুদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের পরিবেশে কোনো না কোনো বর্ডারে একটা সংঘর্ষ তারা [ভারত] লাগাতে চায়। সেই চেষ্টা তারা করছে। পুশ ইনের ঘটনার আগে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে এসে অনেকগুলো জায়গা তাদের বলে দখল করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ বিজিবির সঙ্গে মিলে তাদের তাড়িয়ে দিয়েছে।

‘এখন সীমান্তে একটা সংঘর্ষ লাগিয়ে তারা প্রমাণ করতে চায় পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের একটা সম্পর্ক হওয়ার কারণে পাকিস্তানি জঙ্গিরা সীমান্তে এসেছে। এমন একটি গল্প তারা তৈরি করতে চায়। সেই গল্প তৈরি করবার রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তৈরি হয়ে আছে।’
সৌজন্য: দ্য ডেইলি স্টার