গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিটিএসডি ফোরামের স্মারকলিপি প্রদান
- আপডেট সময় : ০৯:২৪:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৬১৩ বার পঠিত
বিটিইবি-এনএসডিএ অসম লড়াইয়ে বলি হতে চলেছে দেশের সাড়ে ৩ হাজার শর্ট কোর্স প্রতিষ্ঠান!
পিসিবার্তা রিপোর্টঃ আজ ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক চত্বরে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত বেসিক ট্রেড পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের জাতীয় সংগঠন, বেসিক ট্রেড স্কীল ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এক মানববন্ধন সমাবেশ ও স্মারলিপি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের আহ্বায়ক নিত্যানন্দ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে শর্টকোর্সের অনুমোদন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অব্যহত রাখার জোর দাবী করা হয়। বিটিএসডি ফোরাম আয়োজিত সবাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিটিএসডি ফোরাম, রাজশাহী বিভাগের জনপ্রিয় নেতা মোঃ হানিফ খন্দকর, বিটিএসডি ফোরাম কেন্দ্রীয় সদস্য ও বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী জাহিদ, বিটিএসডি ফোরাম কেন্দ্র কমিটির সদস্য ও যশোর জেলা কমিটির সম্পাদক, যশোর শেখ হাসিনা আইটিপার্কের উৎসব টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজয় দত্ত, সাতক্ষীরার বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, গোপালগঞ্জ ড্যাফোডিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ হারুন-অর-রশিদ, বিটিএসডি ফোরাম গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য ও সংগঠক মনোতোষ সরকার প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।সংগঠনের সদস্য সচিব ও পাবনার পাথ পাইণ্ডারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তোফাজ্জল হোসেন টুটুল পরিচালিত সভায় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, জাতীয় দক্ষতা মান বেসিক কোর্সটি কারিগরি বোর্ড থেকে অনুমোদন বাতিল করা হলে, স্ব-অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত বেসিক কোর্স প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে। নতুন করে বেকার হবে প্রায় ৫০ হাজার মানষ ও পথে দাঁড়াবে তাঁদের পরিবার। ফলে নতুন করে সমাজে বিশৃঙ্খলা আরো বাড়বে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শর্টকোর্স বন্ধ হলে, সরকারের ভিশন ও কারিগরি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০% করার লক্ষমাত্রা অর্জন চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও আইএলও’র অর্থায়নে a2i পরিচালিত দক্ষতা প্রশিক্ষণ যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শর্টকোর্স অনুমোদন স্বাপেক্ষে আরটিও (RTO) প্রতিষ্ঠান এবং এনটিভিকিউএফ (NTVQF) প্রকল্প; ফলে শর্টকোর্স প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হলে দক্ষতার সনদায়নের দীর্ঘ্য সূত্রিতা ও অনিশ্চায়তার কারণে দাতা সংস্থাসমূহ আমাদের দেশ হতে হাত গুটিয়ে নিতে পারে।
সমাবশের সভাপতির বক্তব্যে নিত্যানন্দ সরকার বলেন, এনএসডিএ’কে তথাকথিত ‘সনদায়ন কর্তৃপক্ষ’ করার স্থলে, জাপান-কোরিয়া-আমেরিকা-ভারত ইত্যাদি দেশের মতো এবং আমাদের দেশের ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন’ এর মতো একটি ‘এপেক্স বডি’ হিসেবে দেশের সকল কারিগরি প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্মকাণ্ড তত্ত্বাবধান,
পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণের দায়িত্ব দেয়া হোক।
বিটিএসডি ফোরাম নেতৃবৃন্দ ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের পর বিটিএসডি ফোরামের মাসব্যাপী গৃহীত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিটিএসডি ফোরামের মাসব্যাপী ৬দফা কর্মসূচি-
১। আজ ১৬ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারগণের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
২। ২৬ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ সারা দেশে বিটিএসডি ফোরামের দাবীর স্বপক্ষে প্রচারপত্র বিলি, পোস্টারিং, ব্যানার ও বিলবোর্ড প্রদর্শণসহ অনলাইন ক্যাম্পেইনিং।
৩। ০১ মে থেকে ০৫ মে ২০২৪ জাতীয় পত্রিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রকাশ।
৪। ০৬ মে থেকে ১৫ মে ২০২৪ সারা দেশে জেলা/উপজেলাতে সংগঠনের দাবীর স্বপক্ষে ব্যানারসহ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন।
৫। সারা দেশের সম্মানীত সংসদ সদস্যগণের সাথে সংলাপ ও বিটিইবি-এনএসডিএ বিতর্কের বিষয়টি সংসদে আলোচ্যসূচিতে আনার জন্য আবেদন করা এবং
৬। ১৬ মে জেলা নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যৌথসভা করে পরবর্তী বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।