ভারতের সর্বপূবের সমুদ্র সৈকত বকখালিতে একদিন
- আপডেট সময় : ১১:৪৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ২৭৪ বার পঠিত
বকখালি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কাকদ্বীপ মহকুমার নামখানা ব্লকের একটি গ্রাম এবং পর্যটন কেন্দ্র। গ্রামটি বঙ্গোপসাগরের একদম কোলঘেঁসে (তীরবর্তী) দাঁড়িয়ে। এখানকার চিকন বালির সমুদ্র সৈকত লালকাঁকড়ার জন্যে বিখ্যাত। অদূরেই সুন্দরবন। নির্জনতাপ্রিয় ভ্রমণ পিপাসুরা বকখালি পছন্দ করেন, জোর দিয়েই বলা যায়।
কলকাতা থেকে সামান্য কিছু (১৩০কিমি) দুরত্বে অবস্থিত এই জায়গাটা আমাদের মনকে প্রকৃতির অনেকটা কাছে এনে দেয়। শিয়ালদহ থেকে নামখানা লোকালে চেপে নামখানা স্টেশনে নামলেই গন্তব্যে মোটামুটি পৌঁছোনো যায়। যদি সকাল সকাল বেরোনো যায় তবে খুব ভালো হয়।
যাই হোক, নামখানায় নেমে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরোলেই অনেক টোটো, ভ্যান রিক্সা পাওয়া যায়, তাতে করেও বকখালি যাওয়া যায় কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ। আর যদি চটজলদি পৌঁছে যেতে চান তবে তো বাস আছেই। ২৮ কিমি রাস্তায় যেতে যেতে সমুদ্র তীরবর্তী গ্ৰাম বাংলার মানুষের জীবন যাপনের রেশ দেখা যাচ্ছিল।
আমি বকখালি গেছিলাম ক্যানিং এর তালদি থেকে। মাত্র ২৫ টাকায় লোকার ট্রেনে সহজেই পৌছে গেলাম নামখানায়। তারপর বকখালি। দিনটা ২০১৭ সালের আজকের দিন (২৯ এপ্রিল)। ছোট বোনের বাড়ি থেকে কাউকে কিছু না বলেই ট্রেনে চেপে বসেছিলাম। তারপর নামখানায় নেমে স্টেশনের ছবি তুলে পাঠিয়েছিলাম ওকে।
এই সুযোগে একটা তথ্য দেই বকখালী যেমন ভারতের সর্ব পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র সৈকত, সর্ব -পশ্চিমাঞ্চলীয় সমুদ্র সৈকতের নাম কটেশ্বর সী-বিচ। এটি গুজরাটের কচ্চ জেলার (ভূজ সংলগ্ন) পাকিস্তান লাগোয়া সমুদ্র সৈকত। বডার-গার্ডের বিশেষ নজর থাকে সেখানে। গত বছর ডিসেম্বরে গুজরাট ভ্রমণের সময় ভারতের পশ্চিম-বিন্দু, পশ্চিমের শেষ রেলস্টেশন (বেট দারোকা) ছুঁয়ে দেখার লোভ সামরাতে পারিনি।
ওই দিনই প্রথম উইণ্ডমিল দেখলাম বকখালিতে। সমুদ্রতীরের উন্মাতাল বাতাসের গতি শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরের কৌশল। (চলবে..)