সাতক্ষীরা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :

মূল্যস্ফীতির জেরে ৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ

পিসিবার্তা ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১২:২০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩ ২৮৫ বার পঠিত

International Monetary Fund

বিশ্বজুড়েই বিরাজ করছে মূল্যস্ফীতি। এর ফলে বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। এর জেরে যেন নাজেহাল অবস্থা দেশগুলোর।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, এই মূল্যস্ফীতির প্রভাবে এ বছর শেষনাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে নেমে আসবে। একই সঙ্গে এ বছর বিশ্ব বাণিজ্যের গতিও কমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর বড় কারণ হচ্ছে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমা ও সেই সঙ্গে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি।

বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে আইএমএফ। এতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলের চেয়ে একটু বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে সাড়ে ৩ শতাংশ অর্জনের পর পরবর্তী দুই বছর এর পরিমাণ কম হবে। এই হার ৩ শতাংশের বেশি হবে না। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে বিশ্বের প্রায় বড় সব অর্থনীতির দেশ সুদহার বাড়িয়েছে। এর প্রভাবে ২০২২ সালের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার ২০২৩ সাল শেষে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির এই হারও করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

২০২৪ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ ৫ দশমিক ২ শতাংশেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দীর্ঘায়িত হওয়ায় এবং আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব খাদ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করবে। তাছাড়া অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে সুদহার বৃদ্ধির চাপ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মুদ্রানীতিতে সুদহার বাড়ায়নি। তবে এই হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলো যদি সুদহার আরও বৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি আরও কমে যেতে পারে। তাই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত, মূল্য স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং আর্থিক তদারকি ও ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ জোরদার করার দিকে মনোযোগ দেওয়া।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালে ২ দশমিক ১ শতাংশ অর্জনের পর ২০২৩ সালে কমে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। পরের বছর আরও কমে ১ শতাংশ হতে পারে। সার্বিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত বছর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জনের পর এ বছর প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে চীনের প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ থেকে কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।

সার্বিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিও কমে আসবে। ২০২২ সালে বিশ্ববাণিজ্য অর্থাৎ আমদানি-রফতানিতে ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছর এই হার ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে ২০২৪ সালে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, সিএনবিসিআইএমএফ  ওয়েবসাইট

ট্যাগস :

মূল্যস্ফীতির জেরে ৩ শতাংশে নেমে যেতে পারে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি: আইএমএফ

আপডেট সময় : ১২:২০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

বিশ্বজুড়েই বিরাজ করছে মূল্যস্ফীতি। এর ফলে বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। এর জেরে যেন নাজেহাল অবস্থা দেশগুলোর।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পূর্বাভাস দিয়েছে, এই মূল্যস্ফীতির প্রভাবে এ বছর শেষনাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশে নেমে আসবে। একই সঙ্গে এ বছর বিশ্ব বাণিজ্যের গতিও কমে আসবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আর এর বড় কারণ হচ্ছে বিশ্ববাজারে চাহিদা কমা ও সেই সঙ্গে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি।

বিশ্ব অর্থনীতির হালনাগাদ পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করেছে আইএমএফ। এতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলের চেয়ে একটু বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে সাড়ে ৩ শতাংশ অর্জনের পর পরবর্তী দুই বছর এর পরিমাণ কম হবে। এই হার ৩ শতাংশের বেশি হবে না। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করতে বিশ্বের প্রায় বড় সব অর্থনীতির দেশ সুদহার বাড়িয়েছে। এর প্রভাবে ২০২২ সালের ৮ দশমিক ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতির হার ২০২৩ সাল শেষে ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতির এই হারও করোনা পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

২০২৪ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থাৎ ৫ দশমিক ২ শতাংশেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দীর্ঘায়িত হওয়ায় এবং আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব খাদ্যপণ্যের দামকে প্রভাবিত করবে। তাছাড়া অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোতে সুদহার বৃদ্ধির চাপ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মুদ্রানীতিতে সুদহার বাড়ায়নি। তবে এই হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলো যদি সুদহার আরও বৃদ্ধি করে সেক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির গতি আরও কমে যেতে পারে। তাই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উচিত, মূল্য স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার এবং আর্থিক তদারকি ও ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ জোরদার করার দিকে মনোযোগ দেওয়া।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালে ২ দশমিক ১ শতাংশ অর্জনের পর ২০২৩ সালে কমে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। পরের বছর আরও কমে ১ শতাংশ হতে পারে। সার্বিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নে গত বছর ৩ দশমিক ৭ শতাংশ অর্জনের পর এ বছর প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। তবে চীনের প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ভারতের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ থেকে কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে।

সার্বিকভাবে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিও কমে আসবে। ২০২২ সালে বিশ্ববাণিজ্য অর্থাৎ আমদানি-রফতানিতে ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি বছর এই হার ২ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে ২০২৪ সালে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স, সিএনবিসিআইএমএফ  ওয়েবসাইট